ইডেনে আজ ভারত-পাকিস্তান মহারণ
আজ আরও একবার বারুদগন্ধী সেই ম্যাচের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেট। সেই উত্তেজনা, উত্তাপ অনুরণিত হচ্ছে সর্বত্র। এই তো সেদিনও মিরপুরে লড়েছিল দুই দল। তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও একে অপরের সামনে ভারত-পাকিস্তান। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবারও বাজাচ্ছে মহারণের দামামা। আজকের মঞ্চ উপমহাদেশীয় ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্স। চারদিকে একটাই রব_ ইডেন আজ কার?
সব ফরম্যাট মিলেই ভারত পাকিস্তানের চেয়ে মোট লড়াইয়ে অনেক পিছিয়ে। তবু ফরম্যাটগুলোর আগে 'বিশ্বকাপ' শব্দটা বসিয়ে দিলে পাকিস্তান যোজন যোজন পিছিয়ে পড়ে। আজ পর্যন্ত বিশ্বকাপের কোনো লড়াইয়েই ভারতের সঙ্গে পারেনি পাকিস্তান! ওয়ানডে বিশ্বকাপে হেরেছে ছয়বার। টি২০ বিশ্বকাপে চারবার। ওয়ানডে ফরম্যাটে তবু মোট লড়াইয়ে পাকিস্তান এগিয়েই আছে। কিন্তু ফরম্যাট পাল্টে যখন খেলাটা টি২০ হয়ে যায়, তখন বিশ্বকাপ আর যে কোনো লড়াই প্রায় সবই সাম্যাবস্থায় বিরাজ করে। এখানে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়েই। সব ফরম্যাটের সামগ্রিক বিবেচনায় পাকিস্তান অবশ্য ৮৪-৬৫ ব্যবধানে ভারতের চেয়ে ঢের এগিয়ে। টেস্টে পাকিস্তান ১২-৯ ভারত, ওয়ানডেতে পাকিস্তান ৭২-৫১ ভারত। কিন্তু শুধু টি২০-তে যে ভারত ৫-১ ব্যবধানে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে!
পরিসংখ্যানই বলছে, ক্ষুদ্রতম সংস্করণে কোনো কিছুই পাকিস্তানের পক্ষে নেই। আজ কি সেই চাকাটা উল্টোদিকে ঘুরাতে পারবে শহিদ আফ্রিদির দল। লিখতে কি পারবে নতুন করে ইতিহাস? যেখানে লেখা হবে, বিশ্বকাপে ভারতকে প্রথম হারিয়েছিল যে পাকিস্তান, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি। বর্তমান পরিস্থিতি যা, তাতে কিন্তু খুব কঠিন মনে হওয়ার কথা নয় কাজটা।
প্রথম কারণ হলো, বাংলাদেশকে এই ইডেন গার্ডেন্সেই নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারিয়ে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে পাকিস্তান। দ্বিতীয় কারণ, নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যাচ্ছেতাইভাবে হেরে বেশ চাপে পড়ে গেছে স্বাগতিক ভারত। বিশ্বকাপের ম্যাচ বলে, ম্যাচটা ইডেনের বিশাল বৈরী সমর্থককুলের সামনে বলে চাপে থাকার কথা ছিল পাকিস্তানেরই। অথচ, ভোজভাজির মতো চাপটা চলে এসেছে ভারতের ওপর!
এই চাপ অবশ্য ফুৎকার দিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল উড়িয়ে দিতে পারে, যদি তারা নিজেদের খেলাটা খেলতে পারে। ইডেন রানপ্রসবিনী হয়েই হাজির হবে আজ। তাতে লড়াইটা ঐতিহাসিকভাবেই ভারতীয় ব্যাটিং আর পাকিস্তানি বোলিংয়েই নির্ধারিত হয়ে যাবে। তার মানে, এই ম্যাচের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠতে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি ও মোহাম্মদ আমের। মিরপুরে এশিয়া কাপের ওই ম্যাচেও তারাই নির্ধারক হয়ে উঠেছিলেন। আজও হতে পারেন।
এই ম্যাচটা ভারত জিতলে অনেকটাই প্রাণ ফিরে পাবে বিশ্বকাপও। হারলেই আসর থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে যাবে স্বাগতিকরা। তা স্বাগতিকবিহীন একটা বিশ্বকাপ, তাও আবার উপমহাদেশে মানায় নাকি!
সব ফরম্যাট মিলেই ভারত পাকিস্তানের চেয়ে মোট লড়াইয়ে অনেক পিছিয়ে। তবু ফরম্যাটগুলোর আগে 'বিশ্বকাপ' শব্দটা বসিয়ে দিলে পাকিস্তান যোজন যোজন পিছিয়ে পড়ে। আজ পর্যন্ত বিশ্বকাপের কোনো লড়াইয়েই ভারতের সঙ্গে পারেনি পাকিস্তান! ওয়ানডে বিশ্বকাপে হেরেছে ছয়বার। টি২০ বিশ্বকাপে চারবার। ওয়ানডে ফরম্যাটে তবু মোট লড়াইয়ে পাকিস্তান এগিয়েই আছে। কিন্তু ফরম্যাট পাল্টে যখন খেলাটা টি২০ হয়ে যায়, তখন বিশ্বকাপ আর যে কোনো লড়াই প্রায় সবই সাম্যাবস্থায় বিরাজ করে। এখানে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়েই। সব ফরম্যাটের সামগ্রিক বিবেচনায় পাকিস্তান অবশ্য ৮৪-৬৫ ব্যবধানে ভারতের চেয়ে ঢের এগিয়ে। টেস্টে পাকিস্তান ১২-৯ ভারত, ওয়ানডেতে পাকিস্তান ৭২-৫১ ভারত। কিন্তু শুধু টি২০-তে যে ভারত ৫-১ ব্যবধানে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে!
পরিসংখ্যানই বলছে, ক্ষুদ্রতম সংস্করণে কোনো কিছুই পাকিস্তানের পক্ষে নেই। আজ কি সেই চাকাটা উল্টোদিকে ঘুরাতে পারবে শহিদ আফ্রিদির দল। লিখতে কি পারবে নতুন করে ইতিহাস? যেখানে লেখা হবে, বিশ্বকাপে ভারতকে প্রথম হারিয়েছিল যে পাকিস্তান, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি। বর্তমান পরিস্থিতি যা, তাতে কিন্তু খুব কঠিন মনে হওয়ার কথা নয় কাজটা।
প্রথম কারণ হলো, বাংলাদেশকে এই ইডেন গার্ডেন্সেই নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারিয়ে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে পাকিস্তান। দ্বিতীয় কারণ, নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যাচ্ছেতাইভাবে হেরে বেশ চাপে পড়ে গেছে স্বাগতিক ভারত। বিশ্বকাপের ম্যাচ বলে, ম্যাচটা ইডেনের বিশাল বৈরী সমর্থককুলের সামনে বলে চাপে থাকার কথা ছিল পাকিস্তানেরই। অথচ, ভোজভাজির মতো চাপটা চলে এসেছে ভারতের ওপর!
এই চাপ অবশ্য ফুৎকার দিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল উড়িয়ে দিতে পারে, যদি তারা নিজেদের খেলাটা খেলতে পারে। ইডেন রানপ্রসবিনী হয়েই হাজির হবে আজ। তাতে লড়াইটা ঐতিহাসিকভাবেই ভারতীয় ব্যাটিং আর পাকিস্তানি বোলিংয়েই নির্ধারিত হয়ে যাবে। তার মানে, এই ম্যাচের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠতে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি ও মোহাম্মদ আমের। মিরপুরে এশিয়া কাপের ওই ম্যাচেও তারাই নির্ধারক হয়ে উঠেছিলেন। আজও হতে পারেন।
এই ম্যাচটা ভারত জিতলে অনেকটাই প্রাণ ফিরে পাবে বিশ্বকাপও। হারলেই আসর থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে যাবে স্বাগতিকরা। তা স্বাগতিকবিহীন একটা বিশ্বকাপ, তাও আবার উপমহাদেশে মানায় নাকি!
Post a Comment