ম্যাচের আগে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল ইতিহাস ভাঙার ঘ্রাণ। ভারতের সামনে হাতছানি ইডেন গার্ডেনে ওভার-নির্দিষ্ট ম্যাচে ‘পাকিস্তান-জুজু’ কাটানোর, পাকিস্তানের যেকোনো বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয়ের। শেষ পর্যন্ত ইতিহাস ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ল ভারতই। বাক্যটা ক্লিশেই শোনাবে-বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিংয়ে আরও একবার জিতল ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টেনের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েই টুর্নামেন্টে ফিরল ধোনির দল।
বৃষ্টি খেলা শুরুর আগেই ২০ ওভারের ম্যাচটাকে ১৮ ওভারে বানিয়ে দিয়েছিল। তার ওপর ইডেনের পিচ যেন ব্যাটিংটাকে দুনিয়ার সবচেয়ে কষ্টসাধ্য কাজ বানিয়ে দিল, অন্তত পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের সময়। বল পড়ে ঘুরতে থাকল চরকির মতো। ভারতীয় স্পিনারদের সামনে অসহায়ই লাগল পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের, রান করতে রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা। এমনই যে, ভারতকে দিতে পারল মাত্র ১১৯ রানের লক্ষ্য।
কিন্তু ভারতের ইনিংসের সময় যেন অন্য পিচ। অন্তত কোহলির ব্যাটিং দেখে বোঝার উপায়ই ছিল না, ব্যাটিং এখানে কঠিন ছিল। ভারতীয় স্পিনাররা যা করলেন, সেটিই করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানের পেসাররা। বিশেষত মোহাম্মদ সামি। পঞ্চম ওভারের টানা দুই বলে শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নাকে বোল্ড করে ম্যাচটা জমিয়ে ফেলারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। মাত্র ২৩ রানেই তখন ৩ উইকেট নেই ভারতের।
কিন্তু এরপরের গল্পটা অনেকটা এবারের এশিয়া কাপে দুই দলের ম্যাচের মতো। আবারও ভারতের নায়ক কোহলি। ৩৭ বলে ৫৫ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ভারতকে নিরাপদে তীরে পৌঁছে দিলেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের স্পিনাররা কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দেয় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। পিচ ‘পড়ে’ নিয়ে দ্বিতীয় ওভার থেকেই আক্রমণে স্পিনার নিয়ে আসেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফলও মেলে। অশ্বিন-রায়না-জাদেজাদের ঘূর্ণিবিষে জর্জরিত হতে হয় পাকিস্তানকে। ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে আসে মাত্র ৪৬ রান। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ঝোড়ো ব্যাটিং করা অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিও কাল একেবারে খোলসে ঢুকে যান, ১৪ বলে করেছেন ৮ রান। ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে উদ্ধার করেছে শোয়েব মালিক ও উমর আকমলের ৪১ রানের জুটি। একটি ছক্কা ও তিনটি চারে গড়া মালিকের ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংসটাই শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ।
কোহলির ইনিংসটি না হলে কাল ‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের খেলা’ বাক্যটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যেত।
কিন্তু ভারতের ইনিংসের সময় যেন অন্য পিচ। অন্তত কোহলির ব্যাটিং দেখে বোঝার উপায়ই ছিল না, ব্যাটিং এখানে কঠিন ছিল। ভারতীয় স্পিনাররা যা করলেন, সেটিই করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানের পেসাররা। বিশেষত মোহাম্মদ সামি। পঞ্চম ওভারের টানা দুই বলে শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নাকে বোল্ড করে ম্যাচটা জমিয়ে ফেলারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। মাত্র ২৩ রানেই তখন ৩ উইকেট নেই ভারতের।
কিন্তু এরপরের গল্পটা অনেকটা এবারের এশিয়া কাপে দুই দলের ম্যাচের মতো। আবারও ভারতের নায়ক কোহলি। ৩৭ বলে ৫৫ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ভারতকে নিরাপদে তীরে পৌঁছে দিলেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের স্পিনাররা কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দেয় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। পিচ ‘পড়ে’ নিয়ে দ্বিতীয় ওভার থেকেই আক্রমণে স্পিনার নিয়ে আসেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফলও মেলে। অশ্বিন-রায়না-জাদেজাদের ঘূর্ণিবিষে জর্জরিত হতে হয় পাকিস্তানকে। ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে আসে মাত্র ৪৬ রান। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ঝোড়ো ব্যাটিং করা অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিও কাল একেবারে খোলসে ঢুকে যান, ১৪ বলে করেছেন ৮ রান। ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে উদ্ধার করেছে শোয়েব মালিক ও উমর আকমলের ৪১ রানের জুটি। একটি ছক্কা ও তিনটি চারে গড়া মালিকের ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংসটাই শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ।
কোহলির ইনিংসটি না হলে কাল ‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের খেলা’ বাক্যটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যেত।
Post a Comment